কঠিন অসুখ ধরা পড়েছিল চুঁচুড়ার বাসিন্দা বছর আটেকের অদ্রিজার। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল ঘোষ পরিবার। জগদীপ ধনকরের তরফে সহযোগিতা না মিললেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর। এগিয়ে এসেছে একাধিক ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, হুগলীর চুঁচুড়ার বাসিন্দা অদ্রিজাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে একাধিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তররা জানান, লিউকোমিয়ার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে খুদে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেই একমাত্র তাকে সুস্থ করা সম্ভব। এরপর ভেলোর থেকে বেঙ্গালুরু সব জায়গায় মেয়েকে নিয়ে ছুটেছেন বাবা অঞ্জন ঘোষ। কিন্তু খরচের ফর্দে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন সবচেয়ে কম অর্থের অঙ্কটাও ২৩ লক্ষ টাকা! লকডাউনে কাজ হারানো খুদের বাবার পক্ষে যা জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে বাঁচাতে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। অঞ্জনবাবু জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের দপ্তর থেকে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। তবে সাহায্য মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। কিন্তু প্রয়োজন আরও প্রচুর অর্থের। এই অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তও কিছু আর্থিক সহায়তা করেছেন। আর সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছে আত্মীয়-বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পাড়ার ক্লাব।’
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জোগাড় হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা। ১২ জুন মেয়েকে নিয়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন অঞ্জনবাবু। তাঁর একমাত্র প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হোক মেয়ে। এ প্রসঙ্গে শতাব্দী-প্রাচীন চুঁচুড়া টাউন ক্লাবের সম্পাদক ও পেশায় বিসিসিআইয়ের আম্পায়ার ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী জানান, এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকার উপরে ক্লাবের সদস্যরা ওই খুদের পরিবারকে দিয়েছে। আরও মানুষ সাহায্য করতে চাইছেন। রোগকে জয় করে হাসিমুখে ঘরে ফিরবেই অদ্রিজা।