দেশের অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের মত সেও মুম্বই থেকে মালদহে নিজের বাড়ি ফিরছিল। ৩ দিন খাবার-জল ছাড়া ট্রেন সফরের পর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এসেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চলে যায়। আর সেখানেই রবিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। আর সেখানেই সোমবার রাতে মৃত্যু হয় সেই শ্রমিকের। জানা গেছে, তাঁর নাম পীযূষ দাস। ওঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছোট বয়সে বইপত্র ফেলে সংসার সামলাতে সে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল। মুম্বই চলে গিয়েছিল পয়সা রোজগারের আশায়। ভেবেছিল পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু তার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই গোটা গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুর দায় কে নেবে এই প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী থেকে আত্মীয়-পরিজন। পীযূষ দাস এর মামা গাবলু দাস বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছিল। তাই ওকে বাড়ি আসার জন্য পরিবার থেকে বলা হয়েছিল।’
তাঁর কাকা বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার ভাইপো মারা গিয়েছে। ট্রেনে খাবার এবং পানীয় জল না পেয়েই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল সে। তারপর এখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি হওয়ার পরে সেখানে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা। সেখানেই মারা গেছে পীযূষ। ওর মৃত্যুতে রেল নিজের গাফিলতি এড়িয়ে যেতে পারে না। রেলকে দায় নিতেই হবে।’ প্রসঙ্গত, এর আগেও বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনের অব্যবস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, এমনকি মৃত্যুও হয়েছে তাঁদের। এবার ফের এমন ঘটনায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে রেলমন্ত্রক।