পুলিশের বিরুদ্ধে চিরাচরিত বদনাম, পুলিশ বদমেজাজি, এছাড়াও হাজার এক অভিযোগ তো আছেই। কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতি কিছু অন্য ছবি দেখালো। দেখালো পুলিশের মানবিক রূপ, দেখালো পুলিশ শুধুই বদমেজাজি নন। তারা ভালবাসতেও পারেন।
লকডাউনে পুলিশের উপস্থিতি মিলেছে সর্বত্র। তাদেরই অভিনন্দন জানিয়েছেন এই শহরের এক চিকিৎসক। লকডাউন শুরু থেকেই কলকাতা পুলিশের টার্গেট ছিল সাধারণ মানুষের অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত বন্ধ করা। পুলিশের তরফে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত শুধু নয়, মাস্ক না পড়লে বা থুথু ফেলে শহরকে অপরিষ্কার করলেও কড়া হাতে সামাল দিতে দেখা গেছে। লকডাউনে মানুষের নানান অসুবিধা হাজির হয়েছে বাড়ির দরজায়। এবার লকডাউন শেষ করে আনলক ১-এর পর্ব শুরু।
আনলক ১-এর প্রথম দিনেই সেই সমস্ত কাজের প্রশংসা করলেন এই শহরের এক চিকিৎসক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র। তিনি ফেসবুক ওয়ালে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের জন্য লিখেছেন, প্রায় সত্তর দিন পরে উঠে গেল লকডাউন। একজন চিকিৎসক হিসাবে তাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যেতে হয়েছে। গত দুই মাসের কাজে কলকাতা পুলিশ তার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। কোন অসুবিধায় পড়লেই একটি মাত্র সমাধান রাস্তা ছিল কলকাতা পুলিশ। তাদের ফোন করে জানালেই যে কোন কাজ করতে ছুটে গেছে পুলিশ। যা প্রশংসনীয় ও গর্বের বিষয়।