করোনার তাণ্ডব শুরুর আগে থেকেই ধুঁকছিল ভারতীয় অর্থনীতি। মহামারীর কারণে আরও বেড়েছে সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা গেলেও লকডাউন বাড়ানো হয়েছে আরও এক মাস। দেশের অর্থনীতিতে এর ফল হবে গুরুতর। চলতি অর্থবর্ষে জিডিপিতে সঙ্কোচন ঘটবে ২ শতাংশের মতো। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা সিকিউরিটিজ–এর পূর্বাভাস সেরকমই।
শেয়ার কারবারের নামী বিদেশি সংস্থাটির হিসেবে, লকডাউন চলবে জুনের পরও, জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। আর সারা দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হতে হতে আগস্ট।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে আর্থিক সঙ্কোচন ঘটবে, সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও বলছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশ্লেষণ, ৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা সিকিউরিটিজও মনে করে, কোভিডের কোনও ভ্যাকসিন না বেরোলে আংশিক লকডাউন বাড়াতে পারে ভারত সরকার। সেক্ষেত্রে সঙ্কোচন ৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির ৬০ শতাংশ এলাকাই এখনও লকডাউনের খপ্পরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী ১ মাসের স্লো ডাউনের মূল্য হতে পারে জিডিপির ১-২ শতাংশ পয়েন্ট। অর্থনীতিকে চালু করতে ৬ সপ্তাহ সময় লাগা মানে ০.৬ শতাংশ খোয়ানো।’
গত অর্থবর্ষের আর্থিক ঘাটতি সংশোধিত অঙ্ককেও ছাড়িয়ে গেছে বিরাটভাবে। লক্ষ্য ছিল ৩.৩ শতাংশ, এবারের বাজেট পেশের সময় তা সংশোধন করে ৩.৮ শতাংশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বছরশেষের হিসেব আসার পর দেখা গেল তা দাঁড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশ। করোনা মহামারী আসার আগেই এই অবস্থা।