দু’মাস ধরে কড়া ভাবে লকডাউন চলা সত্ত্বেও যে ভাবে ফি দিন মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন, তা গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন।
লকডাউনের সিদ্ধান্তে সংক্রমণ কমার পরিবর্তে বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন। লকডাউনের প্রথম পর্বের বদলে কেন চতুর্থ পর্বে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। আশঙ্কা জানানো হয়েছে, কাজ হারানো নিয়েও। চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ও বেকারত্ব – যৌথ ধাক্কা দেশের পক্ষে সামলানো যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে। করোনা রুখতে সরকারের যৌথ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য হয়েও বিশেষজ্ঞদের এ ভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র।
যৌথ বিবৃতিতে তিন সংগঠনের পক্ষে বলা হয়েছে লকডাউনের মতো কড়া সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ছিল, সংক্রমণের কারণে যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক ধাক্কায় অনেক রোগীর চাপ এসে না-পড়ে।
সেই লক্ষ্যে অনেকাংশে সফল হলেও, চতুর্থ দফা থেকেই অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু হয়। কাজ হারান প্রায় ১১ কোটি মানুষ। ২.৭০ লক্ষ কারখানা ও ছয়-সাত কোটি ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্প লকডাউনের ফলে স্তব্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ও বেকারত্বের জোড়া ধাক্কা দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে চলেছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর সময়জ্ঞান নিয়েও। বলা হয়েছে, শুরুতে সংক্রমণ কম ছিল। তখন শ্রমিকদের বাড়ি পাঠালে রোগ ছড়াত না। কিন্তু এখন শ্রমিকদের কারণে গ্রামীণ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।