দেশ জুড়ে লকডাউন। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি প্রতি নিয়ত দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যেই এক মানবিক দৃশ্য তুলে ধরলেন তামিলনাড়ুর এক চাওয়ালা। লকডাউনের মধ্যে গ্রামের বাড়ি যাবেন বলে মোটরবাইক চুরি করেছিলেন তিনি। তবে সপ্তাহ দুয়েক পরে মোটরবাইকের আসল মালিককে পার্সেল করে মোটরবাইক ফিরিয়ে দিয়েছেন ওই ‘বাইক চোর’।
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন দেখা হয়নি স্ত্রী এবং ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে। ক্রমশ লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে থাকায় আর ধৈর্য রাখতে পারেননি ওই ব্যক্তি। তাঁর দোকানের সামনে একদিন মোটরবাইক রাখেন স্থানীয় এক যুবক সুরেশ কুমার।
সেই সুরেশ কুমারের বাইক নিয়েই নিজের গ্রামে চম্পট দেন তিনি। এই ঘটনার ১৫ দিন পর একটি পার্সেল ডেলিভারি কোম্পানি থেকে সুরেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁকে ওই কোম্পানির অফিসে আসতে বলা হয়। ডেলিভারি কোম্পানির অফিসে গিয়ে চমকে যান সুরেশ। দেখেন তার বাইক। চোখের সামনে চুরি যাওয়া মোটরবাইক ডেলিভারি কোম্পানিতে দেখে প্রথমটায় বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি।
সুরেশ জানিয়েছেন, তিনি আশা করেননি এত তাড়াতাড়ি নিজের বাইক ফেরত পাবেন। শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন যে ১৪০০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিয়ে তাঁকে বাইক ফিরিয়ে দিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ততক্ষণে সুরেশ জানতে পেরেছিলেন যে চায়ের দোকানের কর্মচারীই তাঁর বাইক চুরি করেছিলেন।