আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের খুনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত অবস্থা মার্কিন মুলুকের। বিক্ষোভ ও অশান্তির আঁচ পৌঁছেছিল হোয়াইট হাউজ পর্যন্তও। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে, সাসপেন্ড হয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা ৩ পুলিশকর্মী। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের দাবি, আরও কড়া অভিযোগ আনতে হবে ডেরেকের বিরুদ্ধে। মার্কিন মুলুকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে এবার সামিল ইউরোপও।
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে ধিক্কার জানাতে শুরু করেছেন লন্ডন, বার্লিন -সহ একাধিক শহরের মানুষও। বিচার চেয়ে আজ লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের জমায়েত করেন শতাধিক মানুষ। তবে লকডাউন ভাঙা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যরা অবস্থান বিক্ষোভের পর তা তুলে নেন। এছাড়াও নতুন করে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার ও কার্ডিফ শহরেও। এদিকে, জার্মানির বার্লিনেও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শত শত মানুষ। বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে কানাডার টরন্টোতেও।
এদিকে, মিনিয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, মায়ামি, পোর্টল্যান্ড, সান ফ্রান্সিস্কোর মতো প্রায় ১৩টি শহরে জারি হয়েছে কার্ফু। এই দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। লস অ্যাঞ্জেলসে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোয় রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ, চলে লাঠি। শিকাগো, নিউ ইয়র্কের একাধিক স্থানে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে, ছোড়া হয়েছে লঙ্কাগুঁড়ো, ফিলাডেলফিয়ায় দোকানপত্র ভাঙচুরও করা হয়।
বিক্ষোভের মধ্যে লুটপাটের অভিযোগ এসেছে দেশের একাধিক শহর থেকেই। ফিলাডেলফিয়া, ক্যালিফর্নিয়ার মতো শহরে লুটপাটের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নেমেছে কমপক্ষে ৬২ হাজার ন্য়াশনাল গার্ডও। যে মিনিয়াপোলিসে পুলিশি অত্যাচারের শিকার হন জর্জ। সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বার গোটা প্রদেশে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন চার হাজার জন।