রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে অমিত শাহকে পাল্টা বিঁধলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, এ রাজ্যে পরিবর্তনের সময় এসে গিয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি নিশ্চিত ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও দাবি করেন তিনি। এর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেন, ‘বাংলা এবং কেরলের রাজনীতি যে ভাবে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে, তেমন আর কোথাও নয়।’ তাঁর মতে, যে রাজনৈতিক দল এই হিংসাকে সমর্থন করছে, তাদের ক্ষমতায় থাকা, দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।’ এর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘বাংলায় হিংসা প্রতিদিন বাড়ছে।’ এর পরেই অমিত শাহকে পাল্টা দেন তৃণমূল সাংসদ। টুইটারে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-এর ২০১৮-র তথ্য তুলে ধরেছেন অভিষেক। ওই সময়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনাও করেছেন তিনি।
এনসিআরবি-র রিপোর্টকে পাল্টা অস্ত্র করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, ‘২০১৮-র তথ্য অনুযায়ী, বিহারে হিংসা ও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বাংলার থেকে ৩১৫ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ২৪৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ১৯৩ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ১৮০ শতাংশ এবং গুজরাতে ৫২ শতাংশ বেশি ছিল।’ এই সূত্রেই অমিত শাহকে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘২০১৮-য় ওই রাজ্যগুলিতে কোন দল ক্ষমতায় ছিল?’
অমিতের মন্তব্য সামনে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘অমিত শাহের স্বপ্ন হল বাংলায় জেতা। কিন্তু এই স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাবে।’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘লোকসভা ভোটে বিজেপির গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় তাদের ব্যর্থতা তা অনেকটাই নামিয়ে দিয়েছে।’ সেই সঙ্গে হিংসার রাজনীতি প্রসঙ্গেও অমিতকে নিশানা করে পাল্টা তোপ দাগেন সৌগত। বলেন, ‘দিল্লীতে অমিত শাহের নাকের ডগায় হিংসা হয়েছে, বিজেপি তাতে প্ররোচনা দিয়েছে। আমি তো লোকসভায় বলেছিলাম, শাহের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু তাঁর সেই লজ্জাবোধটুকুও নেই।’