সম্পর্ক অনেক দিনই অতীত হয়ে গিয়েছিল। এ বার সরকারিভাবে শেষ হয়ে গেল সম্পর্ক। আজ ১ জুন থেকে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইনভেস্টর কোয়েসের আর কোনও যোগাযোগ থাকল না। ক্লাব চালনা, টিম সব কিছু নিয়েই এখন সিদ্ধান্তের অধিকার একক ভাবে ইস্টবেঙ্গলের।
কোয়েস চলে গেলে ইস্টবেঙ্গলের নতুন স্পনসর কে? আইএসএলে খেলাই বা কী হবে? ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সরাসরি এ নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু বললেন, ‘নতুন স্পনসরের ব্যাপারে কী ভাবে কী করা যায়, তা নিয়ে রোজই কাজ চলছে। আর আইএসএলের ব্যাপারে এখনও সময় আছে।’
২০১৮ সালে কোয়েসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। যা শেষ হল ৩১ মে। কিন্তু এখানেও রয়েছে প্রশ্ন। চুক্তি অনুযায়ী, ক্লাবের ৭০ শতাংশ শেয়ার ছিল কোয়েসের হাতে। সেই শেয়ারের কী হবে? যতক্ষণ না এর মীমাংসা হবে, ততক্ষণ ক্লাবের পুরো অধিকার ইস্টবেঙ্গল পাবে কি? দুটো পথ আছে। এক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। সেখানে শেয়ার ছাড়লে কোয়েসকে কত টাকা দেবে ইস্টবেঙ্গল, সেটা ঠিক হবে। এই দু’বছরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে থেকে বিশাল প্রচারও পেয়েছে কোয়েস। দুই, কোয়েস মালিক অজিত আইজ্যাক হয়তো এমনিতেই শেয়ার ছেড়ে দিলেন। কিন্তু লকডাউন এবং অন্যান্য কারণে কোয়েসের আর্থিক অবস্থা এখন কেমন সেটা প্রশ্ন। তার উপরেই নির্ভর করছে এই দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত। যদিও ক্লাবের ভিতরের মহলে খবর, আইজ্যাক নাকি এই শর্তে রাজি হয়েছেন।
অজিত আইজ্যাককে রবিবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘চুক্তি যে শেষ, সেটা তো অনেক দিন আগে থেকেই জানা। কী ভাবে শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ের মীমাংসা হবে, তা নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা চলছে। দু’পক্ষের আইনজীবীরাই কাজ করছেন। আশা করছি, দশ দিনের মধ্যেই এ নিয়ে সমাধান হয়ে যাবে।’