মহাকাশে ইতিহাস। দুই মার্কিন নভশ্চর রবার্ট বেনকেন এবং ডগলাস হার্লেকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকে উড়ে গেল স্পেস এক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেট। ফ্লোরিডার জন এফ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে উড়ে যায় মহাকাশযান।
স্পেস এক্স-এর এই মহাকাশ যাত্রাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ২০১১ সালের পরে মহাকাশে ফের মানুষ নিয়ে যাওয়ার বড়সড় কর্মযজ্ঞ। এবার আর অন্য দেশের সাহায্য নয়, মার্কিন বেসরকারি গবেষণা সংস্থাই গোটা মিশনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এই উদ্যোগে স্পেস এক্সের হাত ধরেছে নাসাও। উৎক্ষেপণ থেকে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরে আসা প্রর্যন্ত চলছে লাইভ সম্প্রচার। নাসা ও স্পেস এক্স-এর সাইটে লাইভ সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে।
স্পেস এক্স দুনিয়ার প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান। স্পেস এক্স-এর হাত ধরে মহাকাশ পর্যটনকে জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা থেকেই এই যাত্রা। পর্যটনের ভাবনা থেকেই মহাকাশযানের ভিতরটা ড্রয়িংরুমের মতো করে তৈরি হয়েছে। যাতে রকেটের ভিতরে ড্রয়িংরুমে বসেই মহাকাশে ঘোরার অনুভূতি পাওয়া যায়।
নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছে, প্রথমবার কোনও বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশ মিশনের এত বড় উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। ঠিক সময় স্পেসক্রাফ্ট যাত্রা শুরু করলে বেনকেন ও হার্লের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগবে ১৯ ঘণ্টার মতো। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ২১০ দিন তাঁরা কাটাতে পারবেন স্পেস স্টেশনে। তবে এখনই এই সময়টা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নভশ্চররা স্পেস স্টেশনে পা রাখার পরেই পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক হবে।
স্পেস এক্স প্রধান ইলন মাস্ক বলেছেন, এই ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রা নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেমো ২’। এটা ডেমোনস্ট্রেশন মিশন যা প্রমাণ করবে স্পেস এক্স শুধু স্পেসক্রাফ্ট বানাতেই দক্ষ নয়, নিরাপদে মহাকাশে মানুষও নিয়ে যেতে পারে। এই ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল যার মধ্যে দুই নভশ্চর থাকবেন, এর নকশাও বিশেষ ভাবে বানানো। দীর্ঘ সময় মহাকাশযাত্রার জন্য নাসার উদ্যোগে এমন স্পেস-ক্যারিয়ার বানানো হয়েছে।