নিত্যদিন শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হচ্ছে শ্রমিকদের দেহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ মে থেকে ৮ মে-র পর্যন্ত তথ্য মেলেনি। যদিও এ বিষয়ে রেল মন্ত্রকের তরফে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। বরং রোগব্যাধি নিয়ে এই ট্রেনে যাত্রী করতে নিষেধ করেছে রেল মন্ত্রক।
রেলের তরফে সরকারি ভাবে ট্রেনে যাত্রাকালীন ৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, আরপিএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে আদপে ৮০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য বলছে, এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ১৮ জন, উত্তর-মধ্য রেলওয়েতে ১৯ জন ও পূর্ব উপকূলীয় বিভাগের ট্রেনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নর্দান রেলওয়ের ট্রেনে যাত্রাকালীন আরও ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২০ জন অন্যান্য ট্রেনে মারা গিয়েছেন। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে একের পর এক শ্রমিকের মৃত্যু যে কেন্দ্রের রক্তচাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেননি রেলবোর্ডের চেয়্যারম্যান ভিকে যাদব। তাঁর কথায়, ‘যে কোনও মৃত্যুই শোকের। তবে তার দায় রেলের উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। স্থানীয় স্তরে মৃত্যুর তদন্ত করা হচ্ছে। সব মৃত্যুই যে খাবার না পেয়ে হয়েছে, তা বলা যায় না।’ ইতিমধ্যেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কখনও জল-খাবার না দেওয়ার অভিযোগ। আবার কখনও ভুল গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার অভিযোগ। এমনকী, সামাজিক দূরত্ব বিধিকে শিকেয় তুলে সেই ট্রেনে গাদাগাদি করে পরিযায়ীদের পাঠানো হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৮০ জনের মৃত্যুর খবর যে রেল মন্ত্রকের চাপ বাড়াল তা বলাই বাহুল্য।