বাংলায় করোনা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা যত বেশি সংখ্যায় বাড়ি ফিরছেন করোনা সংক্রমণও যেন সমানুপাতিক হারে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পাঁচটি জেলার করোনা রোগীর একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল সেই চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সনকা হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে এবার বর্ধমানের প্রি-কোভিড হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী শুক্রবার জানান, ‘রাজ্য থেকে পরিদর্শন করে সবুজ সংকেত দিলেই বর্ধমান এই নয়া হাসপাতাল পেয়ে যাবে’। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে সনকা হাসপাতালে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতেই সব জেলাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। তাই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই একটা হাসপাতাল সামাল দিতে পারছে না।
নতুন হাসপাতালে ১৩৮টি বেড থাকবে রোগীর জন্য। পাশাপাশি, দুর্গাপুরের ওই কোভিড হাসপাতালে অতিরিক্ত কর্মী দিয়ে সহায়তা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতি জেলা থেকে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে সনকা হাসপাতালে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও ওই হাসপাতালের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। রোগী ভর্তি ও রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়ার সময়ে তিনিই দায়িত্বভার সামলাবেন। কোনও রোগী পাঠানোর অন্ততপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে সনকা হাসপাতালকে সেই বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। হেল্প ডেস্ক চালু করা হবে প্রতিটি জেলার জন্য।