প্রত্যাশা মতো রাজস্ব আদায় না হওয়ায় ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত হিসেবের থেকে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৮০ বেসিস পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছে। কনট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টস প্রকাশিত পরিসংখ্যান এমনই ছবি সামনে এসেছে।
গত আর্থিক বছরের (২০১৯-২০) জন্য প্রথমে দেশের আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। পরে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে জিডিপির ৩.৮ শতাংশ স্থির করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। বছরের শেষে দেখা যাচ্ছে, সরকারের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপি’র ৪.৫৯ শতাংশ।
প্রবল টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। সাম্প্রতিক অতীতে এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি দেশকে। গত ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি হার কমে হয়েছে মাত্র ৪.২ শতাংশ, বিগত ১১ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। আগামীদিনে যে আরও খারাপ সময় আসতে চলেছে, তার পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছে। এমনকী চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার সংকুচিত ( শূন্যেরও নীচে) হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতির পণ্ডিতরা।
২০২০ আর্থিক বছরে মূলত প্রত্যাশা মতো রাজস্ব আদায় না হওয়ায় সরকার আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যভ্রষ্ট হল সরকার। গত আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ২.৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক ম্যানেজারদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আর্থিক বছরের শেষদিকে বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা অনেক হিসেব অদলবদল করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে গত মার্চ মাসে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে রাজস্ব বাবদ যে আয়ের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল তার মাত্র ৯০ শতাংশ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে জিডিপির ৩.২ শতাংশ। অংকের হিসেবে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজস্ব হিসেবে কোষাগারে ১৯.৩১ লক্ষ কোটি টাকা ঢুকবে বলে প্রত্যাশা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ১৭.৫ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়েছে ঠেকেছে।