লকডাউনের জেরে চৈত্র সেল, পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া এমনকী ঈদেও পসরা সাজাতে পারেনি শাড়ি, জুতো, জামাকাপড়, বৈদ্যুতিন পণ্যের দোকানগুলি। সামনে পুজোর মরসুমেও বিক্রির হাল ফেরার সম্ভাবনা দেখছে না ছোট থেকে বড় জামাকাপড়, শাড়ির দোকানগুলি।
সোদপুর, কাঁচরাপাড়া, শ্রীরামপুর, বারাসতে তাদের দোকান খুলেছে শ্রীনিকেতন। কর্ণধার নিত্যানন্দ আইচের কথায়, ‘অস্তিত্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রায় ৬০০ কর্মী। দোকান খোলার পর থেকে যা বিক্রি হচ্ছে, তাতে এক মাসের মাইনেও উঠবে না। পুজোয় বাজার ভালো হওয়ার কোনও আশাই নেই।’ তাঁর অনুমান, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগে যে ব্যক্তি ২,৫০০ টাকার শার্ট পড়তেন, তিনি এ বার কম দামি জামা খুঁজবেন। করোনা আমাদের নতুন অনুশাসন শিখিয়েছে। নিত্য ব্যবহার্য জামাকাপড়ের চাহিদা বাড়বে।’
অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে না ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের। দোকানের মালিক বঙ্কিম সিংহ বলেন, ‘আমরা যে প্যাকেটে করে জিনিসটা পাঠাবো, সেটাও তো লোকে নিতে ভয় পাচ্ছে। পুজোতেও বিক্রি ২৫-৩০ শতাংশ মতোই হবে।’