প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন ঢুকছে বর্ধমান স্টেশনে। শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ফিরছেন। পাল্লা দিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা শুরু হতেই এভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এতদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে তাঁদের হাতের বুড়ো আঙুলে কালি লাগানো হচ্ছিল। এবার বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থেকে কেউ যাতে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে না পারে তারজন্য তাঁদের হাতের কড়ে আঙুলেও কালি লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
ভিনরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক। তারপর চিকিৎসক কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কাউকে পাঠানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু অনেকেই সেই নিয়ম ভেঙে, লুকিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। ফলে করোনা মোকাবিলায় সরকারি প্রচেষ্টা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণেই এবার ভোটের কালিকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে। জেলা শাসক বিজয় ভারতী বৃহস্পতিবার বলেন, “যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে তাঁদের বুড়ো আঙুলে কালি দেওয়া হবে। আর যাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হবে তাঁদের কড়ি ও অনামিকা, এই দুই আঙুলে কালি দেওয়া হবে। ফলে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।”
জেলাশাসক জানান, দেশের হাইরিস্ক জোন পাঁচ রাজ্য থেকে আসা প্রত্যেকের উপর আলাদা নজরদারি রাখার জন্যই কড়ে আঙুলে কালি লাগানোর ব্যবস্থা। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে এই শ্রমিকদের কেউ বাড়ি চলে গেলেও তাঁদের চিহ্নিত করতে অসুবিধা হবে না। কড়ে আঙুলের কালি দেখে তাঁদের ফের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে। তবে এক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা দূরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বদলে বাড়ির কাছের গ্রামের স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে পারবেন। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।