ন’টাকার ভাড়া কুড়ি টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন শহরের একাধিক অটো চালক। যাত্রী সেজে বাড়তি ভাড়া নেওয়া অটো চালকদের ধরলেন তারা। কিছু ক্ষেত্রে সাবধান, কিছু ক্ষেত্রে আপাতত এক সপ্তাহ অটো চালকদের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর আগামীকাল সকাল থেকে লাগাতার অভিযান চালাবেন তারা।
গত ১৮মে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ২৭মে থেকে কলকাতায় চলবে অটো। দু’জন যাত্রী নিয়ে অটো চলাচল করবে। মাস্ক বা ফেস শিল্ড বাধ্যতামূলক করা হয় অটোতে। যদিও বুধবার সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের কাছে সারকুলার না এসে পৌছনোয় অটো চালানো শুরু হতে দেরি হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে রাজ্য পরিবহন দফতরের কাছে যে শহরের একাধিক জায়গায় অটো চালকরা বাড়তি টাকা দাবি করছেন। পরিবহণ দফতরের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে নিমতলা থেকে মানিকতলা, নিমতলা থেকে হেদুয়া, গড়িয়াহাট থেকে গড়িয়া, উল্টোডাঙা থেকে সল্টলেক বা শোভাবাজার অবধি বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য পরিবহন দফতরের তরফ থেকে।
পরিবহণ দফতরের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যোগাযোগ করেন কলকাতা পুলিশের সাথে। তার পরেই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি অভিযানে নামেন পরিবহণ দফতরের ভিজিল্যান্স বিভাগের অফিসাররা। গড়িয়াহাট, উল্টোডাঙা সহ একাধিক জায়গায় পরিবহণ দফতরের অফিসাররা যাত্রী সেজে অটোয় উঠে বসেন। যে রুটে ভাড়া ছিল ১২ টাকা, সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা অবধি। ৯ টাকা যেখানে ভাড়া ছিল, সেখানে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা।
কসবা থেকে গড়িয়াহাটের এক অটো চালককে তারা ধরেন। যিনি ৯ টাকার বদলে ভাড়া নিচ্ছিলেন ২২ টাকা। এক্ষেত্রে ওই অটো চালকের যুক্তি, মাত্র ২ জনকে নিয়ে অটো চালাতে গিয়ে যে টাকা খরচ হচ্ছে তা তোলার জন্যেই এই ভাড়া তারা নিচ্ছেন। তবে কারও অনুমতি না নিয়েই যে সে অটোর ভাড়া নিচ্ছে তা স্বীকার করেছেন ওই অটো চালক। গড়িয়াহাট রুটের আরও একটি অটোকে ধরেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। যিনি ১২ টাকার ভাড়া যাত্রীদের থেকে ২৫ টাকা করে আদায় করছিলেন। তিনিও এমনি এমনি এই দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছেন বলে জানান। এই ধরণের বেশ কিছু চালকের লাইসেন্স আপাতত সিজ করা হয়েছে।