উম্পুনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে রাজ্যের উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও। সেই ক্ষত এখনও মেলায়নি। এই পরিস্থিতিতেই বিপদ বাড়িয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ফের শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই দুর্যোগ চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। তবে সব জায়গায় সমান পরিমাণে বৃষ্টি হবে না। কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড় বৃষ্টি হবে।
গতকাল, বুধবার প্রবল কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এমন কালবৈশাখী সাম্প্রতিক কালে দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ। ঘন্টায় প্রায় ৯৬ কিলোমিটার ঝড়ের ধাক্কায় শহর ও শহরতলির বহু জায়গায় ফের গাছ পড়েছে, উপড়ে গিয়েছে লাইটপোস্ট। নতুন করে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা।
হুগলির আরামবাগে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। মৃতের নাম লালমোহন রায়গুপ্ত (৪০)। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে গোপাল যাদব নামের এক ব্যক্তির।
বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল পৌনে আটটা থেকে শুরু করে উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।