করোনা মোকাবিলায় সারাবিশ্বের করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় প্লাজমা থেরাপি। পূর্ব ভারতেও শুরু হতে চলেছে কোভিড চিকিৎসায় এই প্লাজমা থেরাপি। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে উজ্জ্বল হয়ে থাকল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। সেখানেই প্রথম শুরু হতে চলেছে এই থেরাপি।
পূর্ব ভারতের প্রথম প্লাজমাদাতা হলেন হাবরার তরুণী মনামী বিশ্বাস। তিনি ছিলেন এ রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত। স্কটল্যান্ডের পড়ুয়া এখানে ফিরে আক্রান্ত হওয়ার পরে সেরে উঠেছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তাঁর শরীর থেকেই রক্তরস সংগ্রহ করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি থাকা দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে এই প্লাজমা।
বিশষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এটি আদতে একটি পরোক্ষ অ্যান্টিবডি থেরাপি, যাতে কোভিড ১৯ রোগের বিরুদ্ধে কাজ করবে এমন অ্যান্টিবডি একজন কোভিড ১৯ পজিটিভ রোগীর শরীরে, সেই রোগটি প্রতিকার এবং নির্মূল করার জন্য প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যান্টিবডি শুধুমাত্র একজন কোভিড ১৯ আক্রান্ত এবং পরে রোগমুক্ত হওয়া মানুষের রক্তরস বা প্লাজমা থেকেই পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর আগে দিল্লিতে হয়েছে প্লাজমা থেরাপি। হয়েছে মহারাষ্ট্রেও। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তথা পূর্ব ভারতে এই উদ্যোগ প্রথম। এতদিন ট্রায়াল চললেও, এ মাসের ৮ তারিখেই বড় স্তরে প্লাজমা থেরাপি শুরু করার অনুমতি পেয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তার পরেই সুসংবাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।