গতকালই জানা গেছিল আরও বাড়ছে স্কুল বন্ধের মেয়াদ৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার স্কুলগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হবে৷ করোনা প্রভাবিত ৫ রাজ্য থেকে আসা নাগরিকদের স্কুলে রেখে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার নয়া ঘোষণা পার্থর। পড়ুয়াদের বাড়িবাড়ি গিয়ে শিক্ষাদানের বিষয়েও বিকল্প ভাবনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বিদ্যালয় শিক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷ তার কারণ অনেক স্কুল অনেক জেলায় ভেঙে গিয়েছে৷ অনেক জায়গায় শ্রমিকদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে সেগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মনে রেখে আমরা একটা বিকল্প রাস্তা কথা চিন্তা করছি৷ যাতে শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে দলবেঁধে গিয়ে, তাদের শিক্ষা দিতে পারেন, তাদের চনমনে রাখতে পারেন৷ শিক্ষক সংগঠনগুলির থেকেও আমরা তাদের পরামর্শ চেয়েছিলাম৷ সেই সময় পরামর্শ পেয়েছি৷’’
এছাড়া উচ্চমাধ্যমিক নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, ২৯ জুন ২, ৬ জুলাই উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ নির্ধারিত সূচি মেনেই উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ ঝড়ের কারণে উচ্চমাধ্যমিকের ৪৬২ পরীক্ষাকেন্দ্র বদল করা হতে পারে৷ সংসদ প্রয়োজনে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র তৈরি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্কুলে স্কুলে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷