দেশজোড়া করোনা পরিস্থিতিতে কোন কোন বিরোধী শাসিত রাজ্য চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ নানা ভুল করছে তা খুঁজতে ব্যস্ত শাসকদল। ঠিক সেই সময়ই বিজেপির লজ্জায় মুখ ঢাকার মতো ঘটনা ঘটল হিমাচল প্রদেশে। সম্প্রতি সেখানে পিপিই কিট সম্পর্কিত একটি দুর্নীতি ফাঁস হয়। এই ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য নির্দেশক অজয় কুমার গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনার জেরেই এবার ইস্তফা দিলেন হিমাচল প্রদেশের রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব বিন্দল। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় কেলেঙ্কারির আঁচ পৌঁছয় দিল্লী পর্যন্ত। কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই পুলিশ রাজ্য বিজেপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, করোনার দাপটে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা দেশ জুড়ে। এমন সময় পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশের রাজ্য-রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পিপিই কিট কেলেঙ্কারির খবরে। এই খবরের গনগনে আঁচ পৌছেছে পিএমও পর্যন্ত। ঘটনার জেরে প্রথমে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু করা হয়। পিএমও-র তরফ থেকে এক অফিসারকে নিয়োগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্তের। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফ থেকেও ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু করা হয়। এরপরই ভাইরাল হয় ৪৩ একটি সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ। যেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব বিন্দলকে ৫ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে।
এরপরই তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক অজয় কুমার গুপ্তাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের।ইতিমধ্যেই পিপিই কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বও। তাঁদের দাবি যে, রাজ্যের শাসকদের কেউ এই বিষয়ে জড়িত না থাকলে এত বড় কেলেঙ্কারি সম্ভব হত না। সূত্রের খবর, তদন্তেও এই পুরো ঘটনার পিছনেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির হাত ছিল বলে জানা যায়। মুখে স্বীকার না করলেও এই ঘটনার পরই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন বিন্দল। শেষমেশ বুধবার তিনি নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন পদত্যাগপত্র পাঠান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে।