মোবাইল কোম্পানি নোকিয়ার তামিলনাড়ুর কারখানায় কর্মরত ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তারপরেই এই কারখানা আপাতত বন্ধ করে দিল নোকিয়া।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে নোকিয়ার এই কারখানায় মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। সম্প্রতি সেখানে কর্মরত বেশ কিছু কর্মীর সংক্রমণ ধরা পড়ে। নোকিয়ার তরফে অবশ্য কতজন আক্রান্ত হয়েছে তার তালিকা বা সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে কারখানার এক কর্মী জানিয়েছেন, অন্তত ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড ১৯-এ।
লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ের পর অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেইমতো একাধিক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়। তারমধ্যে একটি ছিল নোকিয়ার এই কারখানা। নোকিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘কারখানা চালু হল। সব নিয়ম মানা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব থেকে শুরু করে কর্মীদের সুরক্ষা সব দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে।’ কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি কোম্পানির তরফে।
গত সপ্তাহে দিল্লীর বাইরে মোবাইল কোম্পানি ওপ্পো-র একটি কারখানায় অন্তত ন’জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। তারপরেই এই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চীনা মোবাইল কোম্পানি। এভাবে কারখানা চালু হওয়ার পরে কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় চিন্তা বেড়েছে কারখানার মালিকদের। কোনও কারখানায় কর্মরত প্রত্যেক কর্মীর কোভিড ১৯ টেস্ট করার চিন্তাভাবনা করছে তারা।