কয়েক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ট্রেনে ঘরে ফিরছেন এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের অনেকের মধ্যেই করোনা উপসর্গ থাকার খবর মিলছে বিভিন্ন জেলা থেকে। কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের ঘণ্টা কয়েকের তাণ্ডব প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে গিয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশকে। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় স্পেশাল ট্রেন না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এর ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য আপত্তি করলেও শুনছে না রেল। এমনই অভিযোগ নবান্নের।
নবান্ন সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যেই ৩০টি ট্রেন পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রত্যেক ট্রেনে ১৬০০ থেকে ১৭০০ জন যাত্রী আসছেন। অর্থাৎ ৩০টি ট্রেনে মোট প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষ আসবেন এরাজ্যে। এখন মহারাষ্ট্র থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশ-ই করোনা আক্রান্ত। যার ফলে এরাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নবান্নের অভিযোগ, বারবার বলা হয়েছে রাজ্যকে না জানিয়ে ট্রেন না পাঠাতে। কিন্তু সেসব কিছুতেই মানছে না রেল। রাজ্যের আরও অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের তাণ্ডবের পর রাজ্য এখন ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনের কাজে ব্যস্ত। ফলে এই মুহূর্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন এলে সমস্যা হবে। কিন্তু রেলকে তা জানান হলেও রেল সেসব কানে তুলছে না।