সম্প্রতি ভারতের একাধিক অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। যা নিয়ে টানাপোড়েন বেড়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে । সেই আবহেই এবার সীমান্ত উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলল প্রতিবেশী দেশ নেপাল। জানা গেল ভারত নেপাল সীমান্তে ১১৪ টি সেনা চৌকি বানানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে তারা। এই ঘটনায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে যে বড়সড় চিড় ধরেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতির পিছনে চীনের চক্রান্ত রয়েছে বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
শুধু তাই নয় লিপুলেখ পাশের ছাঙ্গুতে ইতিমধ্যেই একটি সেনা চৌকি বসিয়েছে নেপাল। আরো তিনটি পোস্ট বসানো হবে ঝুলাঘাট, লালি ও পঞ্চেশ্বরে। বাদবাকি আরও একাধিক অঞ্চলে ইতিমধ্যেই সেনা চৌকি বসানো তোড়জোড় শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ বাড়ছে নেপাল ভারত সীমান্ত উত্তেজনা।
ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১৭০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমারেখা রয়েছে। এর মধ্যে ২৭০ কিলোমিটার রয়েছে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের সঙ্গে। জানা যাচ্ছে এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অন্তত ১০টি সশস্ত্র সেনা চৌকি বসাবে সরকার। যদিও আগে থেকেই এখানে কিছু সেনা চৌকি রয়েছে নেপালের। এবার তার পরিমাণ বাড়ানোর পথে নেপাল সরকার। সূত্র বলছে, এরমধ্যে ৬টি সেনা চৌকি বসানো হবে পিথোরাগড় এলাকায় যা লিপুলেখ পাস অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলটিকে ইতিমধ্যেই নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল।
সদ্য ‘দ্য রাইসিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। কালাপানি সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে চলা বিবাদ নিয়ে পোখরেল বলেন, “ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গোর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা। কিন্তু তৃতীয় কোনও শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান তা নিন্দনীয়। প্রয়োজনে নেপালি ফৌজ যুদ্ধ করবে।” শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনা কর্মরত গোর্খাদের উসকানি দিতে পোখরেল আরও বলেন, “ভারতের জন্য যে গোর্খা সৈনিকরা প্রাণের আহুতি দিয়েছেন তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন জেনারেল নারাভানে। ভারতীয় সেনপ্রধানের এহেন মন্তব্যে ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানরা স্বজাতির কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন না।”
ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন গোর্খা জওয়ানরা। কারগিল যুদ্ধে গোর্খা রাইফেলস-এর জওয়ানদের রণহুঙ্কার ‘জয় মহাকালী আয়ো গোর্খালি’ শুনে পাকিস্তানি সেনাদের বুক কেঁপে উঠেছিল। বর্তমানে ভারতের ফৌজে প্রায় ৪০টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তাদের সুড়সুড়ি দিয়ে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন গোর্খা জওয়ানরা। কারগিল যুদ্ধে গোর্খা রাইফেলস-এর জওয়ানদের রণহুঙ্কার ‘জয় মহাকালী আয়ো গোর্খালি’ শুনে পাকিস্তানি সেনাদের বুক কেঁপে উঠেছিল। বর্তমানে ভারতের ফৌজে প্রায় ৪০টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তাদের সুড়সুড়ি দিয়ে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।