আগামী ২৮ মে থেকে শহরে শুরু হচ্ছে আন্তঃদেশীয় বিমান পরিষেবা। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমান বন্দরে ৪০০ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে পুরোনো টার্মিনালে৷ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাতে কোনও যাত্রীর অসুবিধে না হয়। তবে শেষ দুমাসে করোনা সংক্রমণ হয়নি এমন ব্যক্তিই প্রবেশ করতে পারবেন বিমানিবন্দরে।
এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে তবেই প্রবেশ করা যাবে কলকাতা বিমান বন্দরে। যারা তা নিশ্চিত করতে পারবেন না, তাদেরকে ফিরে যেতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসা বিমানযাত্রীদের জন্য এমনই নিয়ম বেঁধে দিল রাজ্য সরকার।
যেসব বিমানযাত্রী কলকাতায় আসবেন, তাঁদের নিজে থেকেই মুচলেকা দিতে হবে যে তাঁরা করোনা পজিটিভ নন। গত দুমাসে তাঁদের শরীরে করোনা ধরা পড়েনি। বিমানবন্দরেই তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। পাশাপাশি যাঁদের দেহে কোনও লক্ষণ নেই, তাঁদের নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে ১৪ দিন ধরে লক্ষ্য রাখতে হবে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই যোগাযোগ করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। যাঁদের দেহে করোনার লক্ষণ রয়েছে, তাঁদের কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে নমুনা পরীক্ষার জন্য।
প্রসঙ্গত, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়া অন্য সব রাজ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে বিমান পরিষেবা। এদিকে লকডাউনের মধ্যেই সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার ভোর থেকেই চালু হয় অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। বিমানবন্দরে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়।