করোনায় আক্রান্ত হলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের এক কর্মচারী। তার করোনা সংক্রামিত হওয়ার খবর পেতেই তাঁর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা সিল করে দিল প্রশাসন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে সোয়াব টেস্টের জন্য ট্রু-ন্যাট যন্ত্র আসার পরে হাসপাতালের সমস্ত কর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়৷ একই ভাবে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের কর্মীদেরও লালা রসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ৪৫ বছরের এক কর্মচারীর করোনা সংক্রমণ হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে।
কর্মচারীর পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি দোকানের অন্য কর্মচারীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পরে তাঁকে জেলার দুর্গাপুরে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর সেনরেলের ‘বি’ ব্লকের বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য এবং তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য জেলা থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। আসানসোল উত্তর থানা এলাকার কন্যাপুর ফাঁড়ির পক্ষ থেকে জায়গাটিকে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়। পাঁচগাছিয়া অঞ্চলের প্রধান মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এলাকায় ৭ জন স্বেচ্ছাসেবী নিযুক্ত করা হয়েছে যাঁরা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ ও ওষুধ সরবরাহ করবেন। এলাকাটিকে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি স্থানীয় বিডিও এবং মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে। গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে।