মোদী রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলি যেন ‘অন্ধকূপ’। বা তার থেকেও খারাপ। আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের দুরাবস্থা নিয়ে তুলোধনা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল গুজরাত হাইকোর্ট।
করোনা–আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাট তৃতীয় স্থানে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেখানে এপর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৬৯জনের। তার মধ্যে শুধু আহমেদাবাদেই মারা গিয়েছেন ৬৬৯জন। তার মধ্যে শুধু সিভিল হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ৩৫০ জনের বেশি রোগীর। এরপরেই ক্ষোভে হাসপাতালটিকে অন্ধকূপের সঙ্গে তুলনা করে গুজরাত হাই কোর্ট।
আদালত রায়ে বলে, ‘আমরা বলতাম সিভিল হাসপাতাল মানে যেখানে রোগীদের চিকিৎসা হয়, এখন যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে এটা অন্ধকূপের মতো। হয়তো অন্ধকূপের থেকেও খারাপ। দুর্ভাগ্যবশত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের আর কোনও বিকল্প নেই। আমরা যদি সাপ্তাহিক মৃত্যুর হিসেব দেখি, তাহলে গত আট সপ্তাহে সিভিল হাসপাতালের অবদান সর্বাধিক। এটা অত্যন্ত হতাশব্যঞ্জক যে সিভিল হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে চারদিন বা তারও বেশিদিন চিকিৎসা হবার পর। এটা প্রমাণ করে এখানে সঙ্কটজনক রোগীর শুশ্রূষার অভাব রয়েছে।’
গুজরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতিনভাই রতিলাল প্যাটেলকেও ভর্ৎসনা করেছে আদালত। সিভিল হাসপাতালের সঠিক অবস্থাটা দেখার জন্য ক’বার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন সে বিষয়ে জানতে চেয়ে আদালত প্রশ্ন করেছে, ‘রোগীদের সমস্যা, ডাক্তার, নার্স ও অন্যন্য কর্মচারীরা এখানে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সে ব্যাপারে কি গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণা রয়েছে?’
সরকারি হাসপাতালে কোভিড–১৯ রোগীদের মৃত্যুর তালিকা মিলিয়ে হাই কোর্ট বলেছে, চারদিন বা তার বেশি দিনের চিকিৎসার পরও সেখানে গত আট সপ্তাহে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে। এটা যে রাজ্য সরকারের গাফিলতির প্রত্যক্ষ উদাহরণ সেকথা উল্লেখ করে এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট।