করোনাভাইরাস ত্রাসে ত্রাহি রব বিশ্ব অর্থনীতির। লকডাউন পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে। এই অবস্থায় ব্যবসা বাঁচাতে কোথাও চলছে ছাঁটাই, আবার কোথাও বেতন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। এবার সেই প্রভাব সরাসরি এসে পড়ল বিশ্বের অন্যতম সেরা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম-এ। জানা যাচ্ছে, এই প্রথম চাকরি যাচ্ছে আইবিএম-এর হাজারেরও বেশি কর্মীর। প্রসঙ্গত সদ্যই সংস্থার সিইও পদে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরবিন্দ কৃষ্ণ।
করোনা আবহে এই বিখ্যাত মার্কিন টেক জায়ান্টের পেনসিলভানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, মিসৌরি এবং নিউইয়র্ক অফিসে কর্মরত বহু কর্মীর চাকরিতে কোপ পড়ছে বলে খবর। আর এই খবরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সিলিকন ভ্যালিতে।
আমেরিকার অন্তত পাঁচটি প্রদেশে আইবিএম ঠিক কত সংখ্যক কর্মীকে বসিয়ে দিচ্ছে তা অবশ্য পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে সর্বভারতীয় ওয়েব পোর্টালের প্রতিবেদনে দাবি, সংখ্যাটা কয়েক হাজার।
আইবিএম-এর ইতিহাসে এই প্রথম, বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হচ্ছেন সংস্থার নয়া সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণের আমলে। এপ্রিলেই আইবিএম-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেন আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী অরবিন্দ কৃষ্ণ।
কর্মী ছাঁটাই নিয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও আইবিএম-এর এক মুখপাত্র জানান, বর্তমানে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতার বাজারে সংস্থার প্রয়োজন উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী। সংস্থার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের কথা ভেবে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। করোনা আবহে অভূতপূর্ব কঠিন পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়েও সংস্থার বৃহত্তর স্বার্থে কিছু কর্মীর উপর প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেন আইবিএম-এর মুখপাত্র। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ছাঁটাই হওয়া সমস্ত কর্মীর মেডিক্যাল কভারেজ জারি থাকবে।
কিন্তু আইবিএম ঠিক কত কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে? নর্থ ক্যারোলিনায় আইবিএম-এর এক প্রাক্তন কর্মী, যিনি তাঁর দলের ১২ জনের সঙ্গে সদ্য বরখাস্ত হয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংখ্যাটা কয়েক হাজার হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রাক্তন কর্মীর কথায়, এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। কর্মীর রেটিং, বয়স, সিনিয়রিটি কোনও কিছুই নির্ভর করছে না।