দুর্যোগের সময় বিরোধীদের রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানালেন কলকাতার মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি সাফ জানালেন সিইএসসি-র ব্যর্থতার দায় সরকারের নয়।
যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় শহরকে পুরোনো ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন পুরমন্ত্রী ও সিইএসসি-র আধিকারিকেরা। তবে এতবড় ঘূর্ণিঝড় সামলাতে রাজ্য সরকার ও পুরসভা প্রস্তুত ছিল না বলে বারবার তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। এমন অভিযোগের জবাবে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের নিশ্চিত অসুবিধা হয়েছে, তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু এখন রাজনীতি নয়, দোষ দেখার সময় নয়। পরিষেবা দিয়ে মানুষকে সেবা করতে হবে, দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে। যাঁরা দোষ ধরার কথা বলছেন, তাঁরা আসলে মানুষের এই দুঃসময়ে পাশে না থেকে ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছেন।’ ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরানো, জমা জল নিষ্কাশন ও পানীয় জলের জোগান স্বাভাবিক করা নিয়ে ছুটির দিনেও জরুরি বৈঠক বসে পুরসভা। সেখানে মূল রাস্তার পাশাপাশি পাড়ার গলিতে পড়ে থাকা গাছ কিভাবে সরানো যায় তা নিয়ে কথা হয়।
পুরমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেনা, এনডিআরএফ ও দমকল যেমন শহরে কাজ করছে তেমন পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় ক্লাব ও ছেলেরা মিলে উপড়ে পড়া গাছ কেটে বিদ্যুৎ আনতে সাহায্য করেছে। সবারই সাহায্য চাইছি। ছোট-বড়, অনেক সংস্থার কাছ থেকে নানা সাহায্য নিয়ে কলকাতাকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে।’ সোমবার শহরে উড়িষ্যা থেকে আসা ৩৫০ জন সাইক্লোন কম্যান্ডোকে গাছ কাটা ও সরানোয় লাগাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। দু-একদিন পর থেকে রাস্তায় পড়ে থাকা লাইটপোস্ট ও সিগন্যাল পোষ্ট পুনরুদ্ধারের কাজও শুরু হবে। তবে শুধুমাত্র নিজের ঘরে বসে বৈঠক করে নয়, এদিন রাস্তায় নেমে স্বয়ং পুরমন্ত্রী তদারকি করে খিদিরপুরের জমা জল সাফাই করান।