বুধবার সন্ধের পর উম্পুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছিল গোটা শহর। সামলে উঠতে এখনোও কিছু দিন সময় লাগবে। খোদ কলকাতায় ভেঙে যাওয়া গাছের অন্তত ৬০ শতাংশ এখনও না সরানোয় শহর ও শহরতলির যানচলাচল ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সর্বত্র স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। শহরতলিগুলিতেও একই অবস্থা। গাছ সরিয়ে কলকাতাকে সচল করতে কমপক্ষে আরও সাতদিন লাগবে বলে স্বীকার করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে রাতারাতি বরো পিছু লাখ টাকা দামের করাত কেনার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
শুক্রবার ‘গাছ-সংকট’ নিয়ে পুরভবনে সমন্বয় বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিইএসসি ও বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে। গাছ কাটা ও সরাতে পুরসভা, দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মিলিয়ে প্রায় দশ হাজার লোক নামানো হয়েছে।” নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় পুলিশ, জেলা পরিষদ ও পুরসভা উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ সরিয়ে আপাতত কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের প্রশাসনের মাথাব্যাথার মূল কারণ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হাজার হাজার গাছ। এছাড়াও পুরসভার পার্ক ও সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের মধ্যেও পড়ে রয়েছে আরও কয়েক হাজার নানা মাপের গাছ।