উম্পুনের দাপটে বিধ্বস্ত গোটা বাংলা। সারা শহর লণ্ডভণ্ড। শহরের হাসপাতাল গুলোও ঝড়ের দাপটে প্রায় দিশেহারা। লণ্ডভণ্ড অবস্থা হাসপাতালগুলোও। কোথাও ভেঙেছে সিলিং। কোথাও উড়েছে রোগী প্রতিক্ষার ছাউনি। কোথাও বিদ্যুৎহীন জরুরি বিভাগ বা জল জমে থইথই ওয়ার্ড। কোথাও ভেঙে পড়েছে গ্লাস প্যানেল।
ঝড় যখন নিজের গতিবেগ বাড়াচ্ছে তখনই হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ আসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিল্ডিং থেকে। হাসপাতাল কর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, ভেঙে পড়েছে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ফলস সিলিং। এনআরএস হাসপাতালের হস্টেলের পড়ুয়ারা তখন ব্যস্ত দরজা, জানলা সামলাতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভেঙে পড়ল কাঁচের জানলা-দরজা।
আরজি কর, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতালে একের পর এক গাছ পড়ার শব্দ শুনতে পান হাসপাতালের আবাসিক, চিকিৎসকেরা। তারই মাঝে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দফতরের তৎপরতায় রাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসে।
আমরি হাসপাতাল গোষ্ঠীর গ্রুপ সিইও রূপক বরুয়া জানান, ‘আগের শিক্ষা থেকে আমরা রোগীদের গ্লাস প্যানেল থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম মঙ্গলবারই। ফলে কাচ ভাঙলেও রোগীদের ক্ষতি হয়নি।’ সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উঠেপড়ে লাগে হাসপাতালগুলি। কিন্তু, বিপদ বাকি তখনও। গাছ পড়ে একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় হাসপাতালের কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয় ভয়াবহ ভাবে।
এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ের সামনের রোগী প্রতীক্ষাকেন্দ্রের ছাউনি উড়ে যায়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রোগীর সেই পরিজনদের ট্রমা কেয়ার বিল্ডডিংয়ের ভিতরে আশ্রয় দেওয়া হয়।