ভয়ঙ্কর গতিতে এগিয়ে আসছে উম্পুন। প্রতি মুহূর্তে উপকূলের আরও কাছে এসে পড়ছে এই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দীঘা উপকূল থেকে মাত্র ২২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। কলকাতা থেকে এখন দূরত্ব ৩৩৩ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই মহানগরে শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। মঙ্গলবার রাত থেকেই চলছে বৃষ্টি।
সাইক্লোনের প্রভাব পড়বে মহানগর কলকাতাতেও। ইতিমধ্যেই সবরকমের সতর্কতা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সব পাম্পিং স্টেশনগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। কোনও জায়গায় জল জমলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেওয়া যায়। খুলে দেওয়া হয়েছে গঙ্গার সঙ্গে লকগেটগুলিও। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি আছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদেরও ২৪ ঘণ্টা তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন তা ঠিক করে দেওয়া যায়। ঝড়ের দাপটে গাছ পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে পরিষ্কার পরে দেওয়ার জন্য বিশেষ দলকেও তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে উপকূল এলাকাগুলিতে ঝড়ের গতিবেগ বাড়ছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ, পুরী, বালাসোর থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ, দিঘাতে বাড়ছে ঝড়। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠছে। যত সময় এগোবে এই ঝড়ের গতিবেগ তত বাড়বে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।