গতকাল, মঙ্গলবার থেকেই একাধিক রাজ্যে তার দাপট দেখাতে শুরু করে দিয়েছে উম্পুন। ইতিমধ্যেই বাংলার আরও কাছে চলে এসেছে যা। এই ‘অতি মারাত্মক’ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জানপ্রাণ বাঁচাতে আজ, বুধবার দুপুর থেকে কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিজের বাড়িঘর মজবুত না হলে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে প্রত্যেককে দু’দিনের জন্য সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিতেও অনুরোধ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে সরকারি শিবিরে যতটা সম্ভব পারস্পরিক দূরত্বের বিধি বজায় রাখার এবং প্রত্যেককে মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। খাওয়ারও ব্যবস্থা হবে। ঝড় চলে গেলে বাসিন্দারা বাড়ি ফিরতে পারবেন।’
মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণিঝড় এবং প্রবল বৃষ্টির বিপদ থেকে বাঁচতে বুধবার কলকাতায় দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ মাইকে প্রচার করছে, বাসিন্দারা যেন বাড়ি থেকে না বেরোন। দোকান খুলতে বারণ করা হচ্ছে দোকানিদের। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উম্পুনের মোকাবিলায় সরকার সব দিক থেকে প্রস্তুত। আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। ঝড়ের পরে পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ, পূর্ত, দমকল বাহিনীকে। আজ, বুধবার ঝড়ের রাতে তিনি নিজে নবান্নে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।