এখনও সম্পূর্ণ ল্যান্ডফল হয়নি উম্পুনের। তার আগেই শুরু হল তার দাপট। একাধিক জায়গায় উপড়ে গেল গাছ, ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে দীঘা।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার কথা তার। আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণনের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। তা বেড়ে ১৮৫ কিলোমিটারের আশপাশেও পৌছতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা, হুগলি, হাওড়া এবং নদিয়াতেও আমপানের পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দীঘায় একাধিক হোটেলের সামনে ভেঙে পড়েছে টিন। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। শুধু দিঘাতে নয়, জেলা জুড়ে সর্বত্র একই ছবি। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে একের পর এক গাছ। অনেক জায়গায় বাড়ির উপরেও গাছ ভেঙে পড়ার খবর মিলছে। চলছে উদ্ধার কাজ।
উম্পুনের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ দিন সকালে পূর্ব মেদিনীপুর, তাজপুর, বকখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মন্দারমণি এবং দিঘা-সহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড় বইতে শুরু করে। প্রবল ঝড়ে বকখালিতে বেশ কিছু গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে দিঘা এবং কলকাতাতেও। বেশ কিছু কাঁডাবাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে কাকদ্বীপে।