করোনাভাইরাস ‘এয়ারবোর্ন’ নয়, আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছিল করোনার সংক্রমণ ছড়ায় মূলত রেসপিরেটারি ড্রপলেটের মাধ্যমে। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারস্পরিক দূরত্ববিধি ৬ ফুট নয় বরং আরও বেশি হওয়া দরকার। কারণ ভাইরাস হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ১৮ ফুট অবধি ভেসে যেতে পারে, এমনটাই বলছে নতুন গবেষণা।
থুতু, লালা, হাঁচি-কাশিকে আধার বানিয়ে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে পৌঁছতে পারে ভাইরাস। থুতু-লালার এই আধারকেই বলে রেসপিরেটারি ড্রপলেট। এখন এই রেসপিরেটারি ড্রপলেট বাতাসে কতদূর যেতে পারে এবং কতঘণ্টা এই ড্রপলেটের ভেতরে ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে সেই নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে মতভেদ রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, ‘হাঁচি বা কাশির ধাক্কায় অনেকটাই ড্রপলেট একসঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কম উচ্চতার মানুষজনের ক্ষেত্রে ভয়টা অনেক বেশি। বাতাসে এই ভাইরাস ড্রপলেট কতক্ষণ টিকে থাকবে সেটা নির্ভর করে তাপমাত্রা, হাওয়ার গতি, বাতাসের আর্দ্রতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপরে’।
ইউনিভার্সিটি অব নিকোসিয়ার গবেষক দিমিত্রিস দ্রিকাকিস বলছেন, “প্রাপ্তবয়স্ক হোক বা শিশু, যে কোনও উচ্চতার মানুষের কাছেই পৌঁছে যেতে পারে বাতাসে ভেসে আসা ওই ভাইরাস ড্রপলেট। তাই করোনা রোগী বা তার সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তির কাছাকাছি যেতে হলে পারস্পরিক দূরত্ব ১৮ ফুটেরও বেশি রাখা দরকার। সেই সঙ্গে সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার খুবই প্রয়োজনীয়”।