পূর্বাভাস মতই গতি বাড়িয়ে যথা সময়ে বাংলায় ঢুকে পড়েছে উম্পুন। ইতিমধ্যেই এই ‘অতি মারাত্মক’ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ল্যান্ডফল তথা মাটিতে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বিকেল ৪ টে নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একেবারে উপকূল অঞ্চলে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার।
এই অবস্থায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ জানিয়েছিলেন, উম্পুনের চোখ ঢুকে গিয়েছে সাগরে। অর্থাৎ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল এলাকা সাগর অঞ্চলে। তার লেজ এখনও ঢোকেনি। কিন্তু ওটাই বড় ধাক্কা দিকে দিতে পারে।
আলিপুর দফতরের অধিকর্তার কথায়, এই সাইক্লোন একটা বিশাল স্ট্রাকচার। এর একটি আই তথা চোখ রয়েছে। তার বাইরে রয়েছে ওয়াল ক্লাউডের আস্তরণ। তার বাইরে একটা আউটার পেরিফেরি থাকে। প্রথমে ফরওয়ার্ড সেকশন যাবে। তার পর আই তথা চোখ যাবে। তার পর শেষ অংশটা আছড়ে পড়বে মাটিতে।
তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলে ও দীঘায় ঝড়ের গতি তীব্র হচ্ছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ঝড়ের তীব্রতা এখনও ঘন্টায় দেড়শ কিলোমিটার রয়েছে। দীঘা কন্ট্রোলরুম থেকে জানা গিয়েছে সেখানে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি। সোঁ সোঁ করে হাওয়ার আওয়াজ হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা, নন্দীগ্রামে।
ইতিমধ্যেই ঝড়ের ধাক্কায় দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁচা ঘরবাড়িও ভেঙেছে বেশ কিছু। এই অবস্থায় এই তিন জেলার জেলাশাসককে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়া যেখানে ঝড়ের দাপট বেশি হচ্ছে সেখানে প্রয়োজন মতো বিদ্যুতের সংযোগ ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।