রবিবার রাজ্যগুলির বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। রাজ্যগুলির জন্য বাজার থেকে ধার করার সীমা ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ‘ওয়েজ অ্যান্ড মিনস অ্যাডভান্স’-এর সীমা ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ওভারড্রাফটের মেয়াদও কিছুটা বাড়ছে। তবে কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের ‘সুবিধা’ রাজ্যকে কার্যত আরও বিপদে ফেলবে বলেই মনে করেন রাজ্যের আর্থিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এমনই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তা ও অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে আয়ই অনিশ্চিত, বাংলার মতো ঋণগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সেখানে আরও ঋণের জালে জড়িয়ে ফেলা ইতিবাচক অর্থনীতির লক্ষণ নয়।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রেপো রেট অনুযায়ী ধার করা এবং বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা বাড়ানোর দাবি করে বাংলাও। তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রের থেকে পাওনা অর্থ ও আর্থিক প্যাকেজ মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকাও চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রাজ্যকে দেওয়া হয়নি। অর্থনীতিবিদদের অনেকে জানাচ্ছেন, এখন ঋণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই, ঠিকই। কিন্তু রাজ্যগুলির আয়ের উৎস বা ঋণ শোধ করার ক্ষমতা কতটা, সেটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন। এমনিতেই প্রতি মাসে কমবেশি সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। আগের ধার শোধ করতে বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। তার ওপরে জিএসটি কার্যকর হওয়ায় রাজ্যের আয়ের উৎস সীমিত। এই পরিস্থিতিতে বাজার থেকে আরও ঋণ নিলে রাজ্যের আয়ের বেশির ভাগটাই ধার শোধ করতে চলে যাবে।