১৭ এর পর ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের প্রস্তুতি রাখার কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। রবিবার তা গড়িয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় লকডাউন ঘোষণার পরেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রবিবার রাতে ভিডিও কনফারেন্স করেন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কোথায় কতটা কড়াকড়ি বহাল থাকবে, কোথায় মিলবে ছাড়–সে ব্যাপারে আজ, সোমবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ট্যুইট করে জানায়, সোমবার দুপুরের পর রাজ্য সরকার সামগ্রিক পরিকল্পনা ঘোষণা করবে। আজই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সও করবেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে রেড জোনে বিভাজন সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভাজন বিজ্ঞাপ্তিও আজ প্রকাশ হওয়ার কথা। পাশাপাশি জেলাগুলিতে গণপরিবহণ চালু করার কথা হয়েছে। অফিস-কাছারি, দোকান-বাজার পুরোমাত্রায় সচল করার অনুমতি দেওয়ার আগে রাজ্য সরকার যাত্রী পরিবহণ চালু করতে বিশেষ উদ্যোগী।
নবান্ন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা ও শহরতলিতে মানুষের সুবিধার জন্য আরও চল্লিশটি রুটে সরকারি বাস চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কনটেনমেন্ট জোন বা কলকাতার রেড জোনের মধ্যে সংক্রমণ-প্রবণ এলাকা বা ‘এ’ জোন’ বাদে বাস চালাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলি চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল–নীলগঞ্জ-ধর্মতলা (এস-১১), কাঁকুড়গাছি-বেহালা (এস-৩বি), ডানলপ-হাওড়া স্টেশন (এস-৩২এ), ব্যারাকপুর-করুণাময়ী (এস-৫৮), পার্ক সার্কাস-ডানকুনি (সি-২৩), ঘোলা-হাওড়া স্টেশন (সি-৪৫)। এ ছাড়াও করিমপুর, বনগাঁ, ন্যাজাট, ধামাখালি, বাদুড়িয়া, বকখালি ও ডায়মন্ড হারবার রুটে দূরপাল্লার সরকারি বাসও চালানো হবে। শহরের চারটি রুটে ট্রামও চলবে।