কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রকাশিত নির্দেশিকা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (আরএআই)-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কুমার রাজাগোপালন এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন,নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সিঙ্গল ব্র্যান্ড মল, মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলের কথা। সিঙ্গল ব্র্যান্ড মল বা মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলের ঠিক কী অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক করতে চেয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
কুমার রাজাগোপালন বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রকাশিত নির্দেশিকা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। বিভিন্ন জোনে খুচরো বিপণি খোলায় যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার শ্রেণিবিন্যাসেই গলদ রয়েছে”। তিনি আরও বলেন, ‘একটি রাস্তায় পাঁচটির বেশি বিপণি খোলা যাবে না। কে ঠিক করবে কোন বিপণি খোলা হবে? আর যদি একটি বিপণি খোলা হয়, তা হলে অন্যটি কী দোষ করল? এর কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকার আবার এক এক রকম ব্যাখ্যা করছে এক এক রাজ্য সরকার। কেউ বলছে বিপণিতে এয়ারকন্ডিশনার চালানো যাবে না, আবার কেউ বলছে এয়ারকন্ডিশনার রাখতে হবে।’
গত ১১ মে পশ্চিমবঙ্গ সহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আরএআই। গোটা দেশে সংগঠনের প্রায় ১৩,৬৬৭ সদস্য এবং তাঁদের প্রায় ৫ লক্ষ বিপণি রয়েছে, যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে পাঁচ কোটি লোকের কর্মসংস্থান জড়িত।
গ্রেট ইস্টার্ন রিটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পুলকিত বৈদ বলেন, ‘রাজ্য সরকারের দোকান খোলার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু, শুধুমাত্র দোকান খুললেই তো হবে না, সেখানে ক্রেতাদের উপস্থিতিও দরকার। আর সে জন্য বাস, অটোর মতো গণপরিবহণ এ মুহূর্তে চালু করা না গেলেও অন্ততপক্ষে যাঁদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে তাঁদের স্বাভাবিক চলাচল করতে দেওয়া দরকার।’ ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সরকারকে এই দায়িত্ব নিতে হবে।