লড়াই করছেন তাঁরা। প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম এখন বদলে গিয়েছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। একটাই লক্ষ্য, যে করে হোক বাড়ি ফিরতে হবে। যে ভাবে হোক বাঁচতে হবে, বাঁচাতে হবে নিজের ভবিষ্যৎকে। যে কোনও মূল্যে তাই সেই চেষ্টাই করে চলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট, কল কারখানা, যানবাহন।
হয়তো সুদিনে নিজের ঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে পারি দিয়েছিলেন এঁরা। কাজ খুঁজতে অন্য কোথাও বেঁধেছিলেন ঘর। এখন দুর্দিনে সবই গিয়েছে। না আছে সেই কাজ, না ঘর। হাতে টাকা নেই, পেটে ভাত নেই। সামনে শুধু পড়ে অনন্ত রাস্তা। আর সেই রাস্তার শেষেই রয়েছে বাড়ি, নিজের বাড়ি।
যানবাহন বন্ধ হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে হেঁটে বাড়ি ফেরা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই। মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফেরার পথ ধরেছেন তাঁরা। কখনও সঙ্গে শিশু সন্তান, কখনও বৃদ্ধ বাবা-মা, কখনও গর্ভবতী স্ত্রী। তাও ফেরার চেষ্টা করেই চলেছেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা। যেমন দেখা গেল উত্তরপ্রদেশ-হরিয়ানা সীমান্তে। লকডাউনের জন্য সীমান্ত সিল করে রাখা হয়েছে। রাস্তা ধরে গেলে সীমান্ত পেরতে দেবে না প্রশাসন, তাই বাধ্য হয়ে জলপথ ধরলেন শ্রমিকরা। যমুনা নদী পেরলেন ১০০ পরিযায়ী শ্রমিক। মাথায় নিলেন বোঁচকা…একে অপরের হাত ধরলেন। তারপর মানববন্ধনেই পৌঁছে গেলেন উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার কাইরানা অঞ্চলে।