চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রায় দুশো প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জলের ব্যবস্থা করা, আর্সেনিক দূরীকরণ, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কর্মসূচি। এই সব প্রকল্প রূপায়ণে অন্যতম শর্ত স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান। আপৎকালীন এই সময়ে শ্রম-নির্ভর প্রকল্পগুলি বহু মানুষের আয়ের সংস্থান করবে বলেই আশা দফতরের।
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, ‘আমরা ছোট, বড়, মাঝারি সব প্রকল্পের কাজই জোর গতিতে চালিয়ে যাচ্ছিলাম। বাধা হয়ে এল করোনাজনিত লকডাউন। তবে সাময়িক এই বাধা কাটিয়ে ফের পুরোদমে কাজ শুরু করছি। উন্নয়নের রেখচিত্র আরও ঊর্ধ্বগামী করাই লক্ষ্য।’
ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের যাবতীয় শর্ত মেনে, শ্রমিকদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি দিয়েই কাজ করাতে হবে। সব মিলিয়ে লকডাউনের মধ্যে এক দিকে রাজ্যের আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর বিকাশ, অন্য দিকে মানুষের অন্ন-সংস্থান – দু’টোকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে নবান্ন।
পাহাড় থেকে সাগর, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই কর্মযজ্ঞের সূচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। লকডাউন-পর্ব মিটলে স্বাভাবিক জনজীবন সূচনার দিশাও এই সব প্রকল্পের মধ্যে নিহিত বলে তিনি মনে করেন। যেমন, উত্তরবঙ্গে গাজলডোবা পর্যটন-পার্কে জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দফতর। বেশ কিছু ভারী প্রকল্পের পুনর্নির্মাণ ও মেরামতির ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ায় ভেঙে পড়া ওভারহেড জলাধারটির পুনর্নির্মাণও দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।