করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা ভারতে চলছে একটানা লকডাউন। আর এর জেরেই বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া বহু পরিযায়ী শ্রমিক বিগত দেড় মাস ধরে আটকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিমধ্যেই তাঁদের ধাপে ধাপে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। আজমের ও কেরালা থেকে দুটি ট্রেনে করে আড়াই হাজার শ্রমিককে ফেরানোও হয়েছে। এবার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চেপে রাজ্যে ফিরলেন উত্তরবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ট্রেন থেকে নামেন উত্তরের পাঁচ জেলার পরিযায়ীরা। আর মালদা স্টেশনে নামেন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর এবং মালদার পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার বেঙ্গালুরু থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনটি ছাড়ে। রাজ্যের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়ে বাংলায় ফেরে ট্রেনটি। তাতে দক্ষিণবঙ্গের এক হাজারের কিছু বেশী শ্রমিক ছিলেন। আর উত্তরের সাড়ে চারশোর কাছাকাছি। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, ট্রেনে ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের ৭১ জন, দক্ষিন দিনাজপুরের ২৩ জন, মালদার ১৮১ জন, কোচবিহারের ৯৬ জন, আলিপুরদুয়ারের ১৭ জন, জলপাইগুড়ির ৪০ জন, দার্জিলিংয়ের ৬ জন এবং সাধারণ ৭ জন। রাতে এনজেপি স্টেশনে ট্রেন পৌঁছতেই এক এক করে নামেন পরিযায়ীরা। যারা বেঙ্গালুরুতে কেউ বাস প্রস্তুতকারী কারখানায় কাজ করতেন। কেউ আবার হিরের গয়না তৈরীর কারখানায়।
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে প্রথম পৌঁছয় স্পেশাল ট্রেনটি। রাতে এনজেপি স্টেশনে যান রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। খোঁজখবর নেন নিজেই। ট্রেন থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা পৌঁছনোর পরই তিনি ফেরেন। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্টেশনেই থার্মাল চেকিং করা হয়। তারপর রাতের খাবার, পানীয় জল তুলে দেওয়া হয়। এরপর উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসে সামাজিক দূরত্ব মেনেই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো হয়। আপাতত প্রতিটি শ্রমিককেই নিজেদের জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠান হবে পরিক্ষার জন্য।