প্রায় ২ মাস হতে চলল গোটা দেশের লকডাউন। এভাবে টানা লকডাউন চলতে থাকায় বর্তমানে সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের তাঁত শিল্পীরা। এঁদের মধ্যে অনেকে রেশমের শাড়ি বোনেন। বন বীরসিংহ গ্রামে শ’পাঁচেক তাঁতির বাস। এখন তাঁরা কার্যত বেকার হয়ে ঘরে বসে। সরকারি রেশনে কোনও রকমে পেট চললেও তাঁত না চলায় তাঁরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।
আর ঠিক এই কারণেই তাঁরা সরকারের কাছে সাহায্য চাইছেন। রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছেন। নিজেদের সমস্যার কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন হোয়্যাটসঅ্যাপে। কোনও টাকা-পয়সা তাঁরা চাইছেন না। তাঁদের অনুরোধ সরকার যাতে তাঁদের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়।
এই গ্রামের বাসিন্দা তথা পেশায় রেশম শিল্পী উদয়কুমার হালদার বলেন, “আমার বাড়ি বন বীরসিংহ গ্রামে। আমি রেশম শিল্পী। লকডাউনের ফলে আমাদের গ্রামের প্রায় পাঁচশো তাঁতি কোনও কাপড় বিক্রি করতে পারেননি টানা দু’মাস। ফলে আমরা সকলেই বেরোজগার হয়ে গেছি। সরকার যদি আমাদের থেকে কাপড় কেনার ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে আমাদের কাজ চালু থাকতে পারে।”
শুধুমাত্র বন বীরসিংহ গ্রামে এমন অবস্থা তা নয়। আশপাশের শহর ও শহরতলি যেমন সোনামুখী, বিষ্ণুপুর ও পাত্রসায়রের প্রত্যেকটি জায়গায় একই রকম অবস্থা। এমতাবস্থায় পাত্রসায়রের বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওখানে বেশ কয়েকটি তাঁত রয়েছে। আলাদা ভাবে কারও জন্য কিছু করা হয়নি। যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে তাঁরা রেশন পাচ্ছেন। যাঁদের তা নেই তাঁদেরও সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত একবার রেশন দেওয়া হয়েছে।’