যেভাবে কর্মস্থল ছেড়ে কাতারে কাতারে পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে যাচ্ছে তাতে চিন্তিত নন নীতি আয়োগের সহ সভাপতি রাজীব কুমার। তাঁর মতে, লকডাউন উঠে গেলে যেই বিভিন্ন সংস্থায় পুরোদমে কাজ শুরু হবে তখনই এই শ্রমিকরা ফের কাজের জগতে ফিরে আসবেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতি আয়োগের সহ সভাপতি বলেন, কর প্রদানকারী বেতনভোগী মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ত্রাণ দেওয়ার তুলনায় এখন এমএসএমই অর্থাৎ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে বাঁচানোই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে মেয়াদ বাড়লেও ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ মুক্ত এলাকা বা কম সংক্রমণ যুক্ত এলাকাগুলোতে শিল্পসংস্থা, কারখানা সহ ব্যবসা বাণিজ্যের কাজ শুরু করা যাবে।
যদি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করা হয় তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যাওয়া একটা বড় মাথাব্যথার কারণ হবে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে। কেননা তাঁরাই এইসব শিল্পক্ষেত্রের অন্যতম শ্রমের অঙ্গ ছিলেন। সেক্ষেত্রে শ্রমিকের অভাবে সমস্যায় পড়তে পারে শিল্পসংস্থাগুলো, আশঙ্কা করছে রাজ্যগুলো। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ হওয়া বৈঠকে এমন আশঙ্কাই ব্যক্ত করেন বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দলে দলে ঘরে ফিরে যাওয়া আটকাতে গত সপ্তাহেই যেমন বিতর্কিত পদক্ষেপ করে কর্ণাটক সরকার। তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা বন্ধ করে দেয়। যাতে সেরাজ্যে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা কর্ণাটক ছেড়ে না যেতে পারেন তাই ওই পদক্ষেপ করেন তাঁরা। যদিও তাঁদের এই কাজের ব্যাপক সমালোচনা হয় ঘরে বাইরে।
শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় ৭২ মিলিয়ন পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে দেশে রয়েছেন, যার মধ্যে ৩৫ থেকে ৩৮ মিলিয়ন নিজেদের কাজের জায়গাতেই এখনও রয়েছেন।