কোভিড-১৯-এর প্রকোপ আর তার জেরে লকডাউন। এই দুয়ের ফলে শুধু চলতি বছরের এপ্রিলেই কাজ হারিয়েছেন ২৭ মিলিয়ন মানু্ষ, যাঁদের গড় বয়স ২০–৩০ বছরের কোঠায়। এবং ৩০–এর কোঠায় থাকা ৩৩ শতাংশ যুবক, যুবতী কাজ হারিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ পুরুষ। এই তথ্যই জানাল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই।
সংস্থার সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এমাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্মহীনতার হার পড়েছে ২৭.১ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত। তবে অল্প কর্মী নিয়ে, শিফটিং পর্যায়ে বিভিন্ন কারখানা খোলার পর কর্মীদের যোগদানের হার বেড়েছে ৩৬.২ শতাংশ থেকে ৩৭.৬ শতাংশ পর্যন্ত এবং কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে ২৬.৪ শতাংশ থেকে ২৮.৬ শতাংশ পর্যন্ত। তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২০-২৪ বছরের মধ্যে থাকা যুব সমাজের কর্মসংস্থানের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ বা ৩৪.২ মিলিয়ন। সেখানে এবছর শুধু এপ্রিলেই এই বয়সের ১১ শতাংশ বা ২০.৯ মিলিয়ন যুবক, যুবতী কাজ হারিয়েছেন। সিএমআইই-র সমীক্ষা বলছে, এই যে ২০–র কোঠায় থাকা ২৭ মিলিয়ন যুবক, যুবতী কাজ হারালেন, এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে। এরপর অল্প সংখ্যক চাকরির জন্য আরও নতুনদের সঙ্গে তাঁদের প্রতিযোগিতা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কমবয়সি কর্মীদের অনেকেই বাড়ি-গাড়ি কিনতে ধার নেন। তুলনায় খরচ বেশি করেন নানা জরুরি ও শৌখিন সামগ্রীতে। ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে টাকা রাখেন ব্যাঙ্ক, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডে। তাই এঁদের রোজগারে ধাক্কা লাগার অর্থ, একই সঙ্গে চাহিদায় টান আর সঞ্চয়ে ভাটার আশঙ্কা তৈরি হওয়া। যা করোনা-সঙ্কট কাটিয়ে মুখ তুলতে চেষ্টা করা অর্থনীতির পক্ষে দুশ্চিন্তার।