করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান যোদ্ধা তাঁরাই। একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ঢাল-তরোয়ালহীন অবস্থায় অর্থাৎ পর্যাপ্ত মাস্ক, প্রোটেক্টিভ অ্যাপ্রন, গ্লাভস ছাড়াই লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি থাকছে প্রতিনিয়ত। আর এর বিনিময়ে কী পাচ্ছেন তাঁরা? তাঁদের জন্য হাততালি আছে, হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি আছে। কিন্তু মাইনে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে একজন করোনা-যোদ্ধার বেতন কুকুরের প্রশিক্ষকের থেকেও কম!
সম্প্রতি কুকুরের প্রশিক্ষক চেয়ে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে গুজরাত পুলিশ, সেখানে কুকুরের জন্য একজন সিনিয়র ট্রেনিং কনসালট্যান্ট, একজন জুনিয়র ট্রেনিং কনসালট্যান্ট এবং একজন পশু চিকিত্সক প্রয়োজন বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এবং প্রথম দুটি পোস্টেরই বেতন এখানকার সরকারি হাসপাতালের একজন ডাক্তারের থেকে বেশি।
গত ১ এপ্রিল কোভিড হাসপাতালের জন্য মেডিক্যাল অফিসার, স্পেশালিস্ট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয় গুজরাত সরকার। সেখানে একজন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তারের মাসিক বেতন হিসাবে ৬০,০০০ টাকা অফার করা হয়। কিন্তু কুকুর প্রশিক্ষকের জন্য তাঁর চেয়েও বেশি খরচ করছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, দেশের করোনা যোদ্ধাদের আদতে কী চোখে দেখছে মোদীর দল।