অবশেষে স্বস্তি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মঙ্গলবার তিনি ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে।
রবিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ এইমসের কার্ডিও-থোরাসিক বিভাগে ভর্তি করা হয় মনমোহনকে। নতুন ওষুধ খাওয়ার ফলে তাঁর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা যায়। কার্ডিও-থোরাসিক সেন্টারের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাঁর চিকিৎসা করছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ নীতীশ নায়েক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শরীরে যে উপসর্গগুলি দেখা গিয়েছে তা শুধু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এর অন্য কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
সোমবারই ওই চিকিৎসক দলের তরফে জানানো হয়েছিল, মনমোহন সিং স্থিতিশীল। তাঁর শরীরের সমস্ত সূচকই স্বাভাবিক আছে। তাঁকে লাগাতার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। আর তাই এদিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য ৮৭ বছর বয়সি মনমোহন এখনও সেভাবে বার্ধক্যকজনিত রোগে পড়েননি। এর আগে ২০১৯ সালে এই এইমস হাসপাতালেই মনমোহন সিং-এর বাইপাস সার্জারি করা হয়। সেই সময় প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। গত মার্চে আবার অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু রবিবার হঠাৎ তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট থেকে শুরু করে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পর্যন্ত সকলেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছিলেন।