গত সপ্তাহেই কোয়েসের তরফে ক্লাবের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, মে মাস অবধি নয়, এপ্রিল মাস অবধি বেতন দেওয়া হবে। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ক্লাবের খেলোয়াড়রা। এবার কোয়েস অফিসের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হল যে, এপ্রিল মাসের বেতন ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফরা আদৌ নেবেন কিনা তা ১৫ মে’র মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে কোয়েস ইস্টবেঙ্গলকে। এই মর্মে প্রত্যেককে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কয়েকদিনের মধ্যে বার্তা দিচ্ছে তারা।
দু’সপ্তাহ আগেই ফুটবলার-কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘ফোর্স মেজরের কারণে মে মাসের বেতন দেওয়া হবে না। চুক্তি শেষ করে দেওয়া হচ্ছে ৩০ এপ্রিল। এই ব্যাপারে সম্মতিসূচক বার্তা জানিয়ে আমাদের পাল্টা চিঠি দিন। সেখানে আপনাদের বলতে হবে, এপ্রিলের বেতনের পর আমাদের আর বকেয়া নেই। এই পাল্টা ই-মেল পেলেই আমরা আপনাদের এপ্রিলের বেতন দেব। সেইসঙ্গে পাবেন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট।’
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনও ফুটবলারই লিখিত সম্মতি দেননি। তবে হুয়ান মেরা মৌখিক সম্মতি জানিয়েছেন। এই শর্ত না মেনেই ফিফার কাছে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিদেশিরা। পাশাপাশি এফপিএ’র দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতীয় ফুটবলাররাও। রবিবার কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের এক গুরত্বপূর্ণ কর্তা বললেন,‘ মে মাসে মাঝামাঝি আমাদের কলকাতা অফিস খুলবে। ৩১ মে’র পর কোয়েস ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেড লিক্যুইডেশনের পথে এগিয়ে যাবে। আধিকারিক হিসেবে আমরা ওই দিনের পর আর কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে নেই। বেঙ্গালুরু অফিস থেকে বলা হয়েছে, এর মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে।