প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আক্রণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে পরের পর ‘একতরফা’ সিদ্ধান্ত নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কেনা গোলাম’ নয়!
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছিল এক দিস্তে কাগজ। তিনি বলেন, প্রতি আধঘন্টা অন্তর চিঠি আসছে আর প্রতি দু’দিন অন্তর কেন্দ্রীয় দল আসছে! কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন্দ্র ‘ডজন ডজন’ নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে, কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নানা রকম চিঠি পাঠাচ্ছেন এবং সে সব চিঠি প্রকাশ্যে এনে ফেলে বাংলার উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজ্য সহযোগিতা করতে চাইলেও কেন্দ্র করোনা মোকাবিলার নামে ‘রাজনীতি’ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ বার ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়ে গেল! অথচ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে ‘এক পয়সা’ও পায়নি!
এখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র টিম পাঠাতেই পারে। কিন্তু সেই টিম আমাদের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিবকে যদি বলে যে আমাদের গাইড করুন, তা হলে আমাদের অফিসাররা কাজ করবেন কখন?’ এ কথা বলেই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি তো এটা ভাল করে বোঝেন। আপনিও তো একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন!’ পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর প্রশ্নটি নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করছি শ্রমিকদের থেকে টাকা নেবেন না। ওদের কাছে টাকা নেই। যদি টাকা দরকার হয়, বলুন আমরা দেব।’