করোনার জেরে এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বে চলছে চরম দুঃসময়। লকডাউনের জন্য খুব খারাপ অবস্থা চাকরির বাজারে। চাকরিও যাচ্ছে অনেকের। আর ঘিরে ধরছে অবসাদ।যার জেরে আত্মহত্যা করলেন তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কর্মরতা এক মহিলা।
লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে যে কয়েকশো কর্মীর কাজ গিয়েছে, তাঁদেরই অন্যতম ছিলেন কাভালামের বাসিন্দা ২৬ বছরের যুবতী জিনামুল জোসেফ। তিনি কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। জিনার ভাই বলেছেন, ‘জিনার বাবা-মা এ ব্যাপার নিয়ে হইচই হোক এটা চান না। তাঁরা এই জন্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে চান না।’
নামী তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা তাদের এক কর্মীকে ফোনে জানিয়েছিল যে তাঁর চাকরিটি আর নেই। এরপর ৭ মে কোচির ওই কর্মী আত্মঘাতী হন। বাবাকে তিনি বলেছিলেন, ৬ মে তিনি ফোনটা পান। তাঁদের সঙ্গেই সারেন নৈশভোজ। এরপর বেডরুমে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবতী। সকালে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। স্টেশন হাউস অফিসার জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে, চাকরি হারানোর পরই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওই টেকি।’
যদিও এ ব্যাপারে কোম্পানির এইচআর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, কোনও কর্মীর আত্মহত্যার খবর তাঁদের কাছে নেই। এ ব্য়াপারে তিনি মিডিয়াকে কিছু বলতে পারবেন না।
উল্লেখ্য কৃষিক্ষেত্রের সংকটের সময় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা দেশে আকছাড় ঘটেছে। তবে এ বার কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় কি টেকিদের আত্মহত্যার প্রবণতা শুরু হতে চলেছে?