বেতন নেই তিন মাস। তাও করোনা সঙ্কটে জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন দিল্লীর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা। কিন্তু আর নয়। এবার দুর্দশার কথা জানিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন ডাক্তাররা। চিঠিতে জানালেন, কীভাবে কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। ই-মেল মারফত তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছেন সুরাহা চেয়ে।
ডাক্তারদের অভিযোগ, দিল্লীর পুরনিগমের হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের জন্য একটি সংগঠন রয়েছে। ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের দুর্দশার কথা প্রধনামন্ত্রীকে জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মহামারি পরিস্থিতিতে কীভাবে দিন রাত এক করে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তিন মাস ধরে বেতন পাননি তাঁরা। বস্তুত এই হাসপাতালগুলি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে দিল্লীর পুরনিগম। যার ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই পুরনিগমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ডাক্তাররা।
সংগঠনের সভাপতি ডাক্তার আর আর গৌতম জানিয়েছেন, ‘গত তিন মাসের বেতন পায়নি কোনও ডাক্তার। রোগীর সেবা করাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য, এটা আমরা মানি। কিন্তু আমরা তো বেশি কিছু চাইছি না। প্রাপ্য বেতনই পাচ্ছি না আমরা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘দুর্দশার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে বাধ্য হয়েছি আমরা। আমরা চাই তিনি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। সমস্যার সমাধান করুন।’ সমস্যার সমাধান না হলে ডাক্তাররা গণইস্তফার পথ বেছে নেবেন বলে আশঙ্কাও করেছেন তিনি।
এদিকে, দিল্লীর বৃহত্তম পুর হাসপাতাল হিন্দু রাও হাসপাতালে সাতজন ডাক্তার-সহ ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আরও অনেকেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে বেতন না পেয়ে ডাক্তারদের ক্ষোভ বাড়ছে।